ঢাকা , সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫ , ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রামেকের জরুরী বিভাগে ডেসিং রুমে ঝুলছিল তালা! আহত সাংবাদিক রুমেলের ৪০ মিনিট রক্তক্ষরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট সময় : ২০২৫-০৬-২৩ ১৫:১১:৫০
রামেকের জরুরী বিভাগে ডেসিং রুমে ঝুলছিল তালা! আহত সাংবাদিক রুমেলের ৪০ মিনিট রক্তক্ষরণ রামেকের জরুরী বিভাগে ডেসিং রুমে ঝুলছিল তালা! আহত সাংবাদিক রুমেলের ৪০ মিনিট রক্তক্ষরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী: রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক), হাসপাতালের অনিয়ম যেন থামার নয়। সেবা নিতে গিয়ে কখনো নার্সের অবহেলা, কখনও আনসার বাহীনির মাস্তানী আবার কখনও সেবার জন্য গিয়ে ডাক্তারের রাগাম্বিত চেহারা দেখতে হয়। এ যেন এক অন্য জগৎ। আর রামেক নামের সেই জগতের ডাক্তার থেকে শুরু করে সুইপার পর্যন্ত সবাই রাজা।


তবে ডাক্তার, নার্স ও স্টাফদের মধ্যে ব্যাতিক্রম মানুষ একেবারেই নাই, এমন মন্তব্য আমরা কখনই করবো না। ভাল মানুষও আছে সেখানে। রোগীদের সেবা দেয় আন্তরিকতার সাথে। এমনই মন্তব্য হাসপাতাতে চিকিৎসাধীন রোগীর একাধীক স্বজনরা। রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার টাইলস পট্টিতে মোটরসাইকেল যোগে যাওয়ার পথে সড়ক দূর্ঘটনায় আহত হন সংবাদ কর্মী শেখ মোঃ রুমেল (৩৫)। রবিবার বিকাল ৪টায় এ দূর্ঘটনা ঘটে।


ওই সময় সে তার কয়েকজন সহকর্মীকে ফোনে বিষয়টি জানায়। খবর পেয়ে স্থানীয় রাবিনুর রহমান রিয়াদ, সংবাদ কর্মী আহম্মদ মোস্তফা শিমুল, মোঃ পারভেজ ইসলাম, রাতুল সরকার, সাইদ ও জনি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন রোমেলের পা দিয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে।


এ সময় তাকে উদ্ধার করে দ্রুত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে ভর্তি করেন। জরুরী বিভাগে থাকা কর্তব্যরত চিকিৎসক তার পায়ে ড্রেসিং করার জন্য (রুম নং-১১), ড্রেসিং রুমে পাঠান। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখা যায় ড্রেসিং রুমের তালা আটকানো অবস্থায় ঝুলছে এবং একটি লোকও আশ-পাশে নেই। তখনও সাংবাদিক রুমেলের পা দিয়ে রক্ত ঝরছে। কোন ভাবেই মিলছে না চিকিৎসা সেবা। এরই মধ্যে ৩০ মিনিট অতিবাহিত  হয়ে গেছে।


শেষ পর্যন্ত রুমেল রামেকের পরিচালক মহাদয়কে ফোন দিয়ে সহযোগীর জন্য অনুরোধ জানান। এর কিছুক্ষনের মধ্যেই একজন আনসার সদস্য আসেন, এরপর ওই আনসার সদস্য জরুরী বিভাগে থাকা কর্তব্যরত লোকজনকে বার বার বলেন, ড্রেসিং রুমের সামনে একজন রোগী আছে। সেবা প্রয়োজন। কিন্তু তার কথা কেউ কর্ণপাত করছিলেন না। অবশেষে এক ব্যক্তি আসেন ড্রেসিং করতে এবং ড্রেসিং করে দেন। তবে তিনি তার ৩ নম্বর হাত দেখান। পাঠকদের একটু বুঝিয়ে বলি। অলস, ফাঁকিবাজ এবং দায়িত্বে অবহেলা ব্যাক্তিদের ৩টি হাত।


এর মধ্যে রয়েছে ডান হাত, বাঁ হাত আর অজুহাত। এই ড্রেসিং ম্যান সাংবাদিক রুমেলকে বলেছেন বাথরুমে ছিলেন। অর্থাৎ ৪০ মিনিট বাথরুমে! এটা কি অজুহাত নয়? এ ব্যপারে শেখ মোঃ রুমেল জানান, জরুরী বিভাগের ড্রেসিং রুমে যদি তালা ঝুলানো থাকে, আর গুরুতর আহত কোন রোগী যদি আসেন, তাহলে সে রক্তশূণ্য হয়ে মারা যাবে, এতে কোন সন্দেহ নাই।


তাছাড়া ২৪ ঘন্টায় রাজশাহী নগরী-সহ বিভিন্ন উপজেলা থানা ও জেলা গুলো থেকে রোগী আসেন এই রামেকে। অথচ ড্রেসিং রুমে তালা ঝুলিয়ে নিজ খেয়াল খুশি মত কর্তব্যরত সেবক এখান সেখান যাবেন। আবার ডেকে আনলে ৩নম্বর হাত (অজুহাত) দেখাবেন, এটা বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। এ নিয়ে রামেক হাসপাতালের পরিচালক মহাদয়ের নিকট লিখিত অভিযোগ করবেন বলেও জানান ভুক্তভোগী সাংবাদিক রুমেল।



 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ